• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    পাইলট নিয়োগে দুর্নীতি: বিমানের সাবেক এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

    ক্যাডেট পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডি ও সিইও আবুল মুনিম মোসাদ্দিক আহমেদসহ চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জারি করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তরা উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ করেছেন।

    বুধবার কমিশন চার্জশিট অনুমোদন করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।

    চার্জশিটের অপর তিন আসামি হলেন- পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল, বিমানের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) ও ট্রেনিং সেন্টারের (বিএটিসি) সাবেক অধ্যক্ষ পার্থ কুমার পণ্ডিত এবং বিমানের ব্যবস্থাপক (রিক্রুটমেন্ট) ফখরুল হোসেন চৌধুরী।

    কমিশন তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় চার্জশিট অনুমোদন করেছে।

    পাইলট নিয়োগে নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাবেক এমডি ও সিইও আবুল মুনিম মোসাদ্দিক আহমেদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের বিচার শুরু হবে।

    দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স নির্ধারণের সময়সীমা অনুসরণ করা হয়নি। ইচ্ছামত নিয়োগ দেওয়া হয়। আসামিরা অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা লুটে নেয়। পরবর্তীতে এমনকি নিজেদের দুর্নীতিকে জায়েজ করতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়। এতে ৩০ জন পরীক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে- একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ওই ৩০ প্রার্থীর মধ্যে সাবেক এমডির ভাগ্নের নামও রয়েছে।

    ক্যাডেট পাইলট নিয়োগে অপারেশন ম্যানুয়াল পার্ট এ অনুসরণ করা হয় না। বিশেষ প্রার্থীদের বেআইনি সুবিধা প্রদান করে এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পুরুষের মতো রেখে লিখিত (MCQ-তে ২০ নম্বর এবং বর্ণনামূলক ১০ নম্বর) পরীক্ষায় অনুগ্রহ করে প্রার্থীদের চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    বিমানের ক্যাডেট পাইলটদের অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে অভিযুক্তরা তাদের অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এটি তাদের অসদাচরণের জন্য দায়ী করে। গত ৮ জুলাই ২০১৮ থেকে চলতি বছরের ১০ মার্চ পর্যন্ত নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির আয়োজন করা হয়।

    দুদকের অনুসন্ধানে বিমানবাহিনীর ভল্টে রাখা ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার নথি, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন, সংগৃহীত রেকর্ড ও সাক্ষীদের জবানবন্দি পরীক্ষা করে নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    মন্তব্য করুন