• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ‘পাঁচ’ বাংলাদেশী ইয়েমেনে ১০ মাস ধরে বন্দি আছে

    কিছু বাংলাদেশী নাবিককে প্রায় ১০ মাস ধরে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীরা বন্দী করে রেখেছিল। বন্দী নাবিকের বরাত দিয়ে ভারতের কেরালার একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

    গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে হাতি বিদ্রোহীরা ওমান থেকে সৌদি আরব যাওয়ার পথে ইয়েমেন উপকূলে তিনটি জাহাজে ২০ জন নাবিককে ধরেছিল। এর মধ্যে ১৩ জন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের। বাকি সাতজনের মধ্যে বাংলাদেশেরই ৫ জন  মিশরের ২জন।কারাবন্দী নাবিক হোয়াটসঅ্যাপে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে তিনি ফেব্রুয়ারিতে ওমান থেকে সৌদি আরব যাওয়ার পথে লোহিত সাগরে একটি জাহাজ ভাঙ্গার খবর পেয়েছিলেন। ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে নাবিকদের উদ্ধার করে তিনটি জাহাজ ইয়েমেন উপকূলে নোঙর করে। পরে, ইয়েমেনিয়ান কোস্টগার্ডের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত একদল লোক ২০ জন নাবিককে ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে নিয়ে যায়। সানার পরে কোস্টগার্ডের সাথে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া লোকেরা বলেছিল যে তারা হুথি বিদ্রোহী।ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সানা হাতিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটককৃতদের পাঁচতলা হোটেলের চারটি কক্ষে রাখা হয়েছিল।নাবিকদের প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল যে শিগগিরই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে তবে এখনও পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাউথির বিদ্রোহীরা ওমানি জাহাজের মালিকদের কাছ থেকে ২লাখ ওমানি রিয়ালের মুক্তিপণ দাবি করেছিল। তবে জাহাজের মালিক তা এড়িয়ে গেছেন।হোয়াটসঅ্যাপে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে প্রবিন থম্মকরন্তবিদা বলেছেন, “আমি এখানে বন্দির মতো আছি।” আমাদের কাউকেই বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। কারও ভিতরে প্রবেশের অনুমতি নেই। খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে চিকিৎসা সীমাবদ্ধ। আমরা মাঝে মাঝে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই।

    মন্তব্য করুন