• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    পর্যটন শিল্পে নতুনভ যুক্ত হলো ‘স্বপ্নতরী জাহাজ’

    এমবি স্বপ্নতরী জাহাজ চালুর মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ‘স্বপ্নতরী জাহাজ’ যা কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের সমুদ্র, পাহাড়, নদী এবং কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ দেবে। গত শুক্রবার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটের শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের আরেকটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসপি মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. যোদ্ধা নুরুল আবছার, জাসদের সভাপতি নাঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, দৈনিক বাঁকখালী সম্পাদক ও প্রকাশক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কক্সবাজারের টিআই (প্রশাসন) বিভাগ মো: আমজাদ হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি গাজী মিজানুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখি, স্থানীয় সোসাইটি কমিটির সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম উল্লাহ সেলিম, হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পৌরসভার নেতারা। অপারেটর অনার্স অ্যাসোসিয়েশন। – পেশাদাররা উপস্থিত ছিলেন।

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো হাউসবোটের আদলে নৌযান চালু করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে এমবি ‘স্বপ্নতরী(সি-২১৪৪)।

    ফারহান এক্সপ্রেস অ্যান্ড ট্যুরিজমের মালিক ও স্বপ্নের জাহাজের মালিক হোসেন ইসলাম বাহাদুর জানান, কাঠের জাহাজটির ধারণক্ষমতা ১৪৬ জন। এটি প্রতিদিন দুটি পালতোলা করবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমরা নুনিয়াছড়া ঘাট হয়ে সোনাদিয়া, মহেশখালীর শাপলাপুর পয়েন্ট ঘুরে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট হয়ে ঘাটে ফিরে আসব। আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর কস্তুরা ঘাট নতুন ব্রিজ পার হয়ে নাজির টেক নিউ এয়ারপোর্ট রানওয়ে হয়ে মহেশখালীর চারপাশে ঘাটে ফিরে যাবে।

    তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা হাউসবোটে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়রা স্বল্প খরচে জন্মদিনের পার্টি, গেয়ে হলুড অনুষ্ঠান, বুফে ডিনার, লাঞ্চ, সেমিনার, পিকনিক, ইফতার মাহফিল, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

    এই ডাবল ডেকার নৌকাটির নিচতলায় দুটি কেবিন রয়েছে। রেস্টুরেন্টটি দ্বিতীয় তলায়। পর্যটকরা হাউসবোটে চড়ে সমুদ্রে অনায়াসে লাঞ্চ বা ডিনার করতে পারেন। নৌকা তৈরিতে কাঠ ও বাঁশের মতো স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় ও সচেতন মানুষ ও উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে হাউসবোট কেন্দ্রিক পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা দেখছে পর্যটন খাত।