• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    পর্যটকরা সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না

    বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের ভিড়। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সৈকতে যান। তবে এই করোনার পরিস্থিতির মাঝেও মাস্ক পরা বা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা বেশিরভাগ পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।

    পর্যটন পুলিশ সৈকতের সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টগুলিতে নিয়মিত মাইকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটকদের সতর্ক করে দিচ্ছে। জেলা প্রশাসনের একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করছেন। জরিমানাও চাপানো হয়। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট কাউকে দেখলে তিনি মাস্ক বের করেন এবং কিছুক্ষন পর মাস্কটি সৈকতের বালির উপরে গড়িয়ে পড়ে। এবং অর্ধ শতাধিক সৈকত ক্লিনাররা এই মাস্ক কুড়াতেই  লড়াই করছে।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসন করোনার সংক্রমণ আরও বাড়ছে বলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক সপ্তাহ ধরে শহরজুড়ে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে উদাসীনতার জন্য মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে। তার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা জানান, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পর্যটক কক্সবাজারে যান। ফলস্বরূপ, কক্সবাজারে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো: আমিন আল-পারভেজ বলেছেন, সারা দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ জন্য কক্সবাজারে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেই হাইজিনের নিয়মগুলি মানতে চান না।

    সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এই প্রতিবেদক চট্টগ্রামের পর্যটক অনিকের সাথে কথা বলেন। তিনি বললেন, ‘আমি  মাস্ক নিয়ে এসেছি। এখন আমি পানিতে নমব, তাই ফেলে দিয়েছি পানিতে মাস্ক ভিজে যাবে। আমি পরে একটি মাস্ক কিনে পরব।

    ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক এরশাদ হোসেন বলেন, আমি প্রতিদিন সৈকতে ডিউটিতে আছি। আমি পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতাম। পর্যটকদের করোনার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে এখন আমি মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করছি।

    মন্তব্য করুন