• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    পদ্মা ব্যাংকের আত্মসাতের মামলায় চিশতী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

    দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) লোনের নামে অবহেলিত ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) গুলশান শাখা থেকে ২৯.৫১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে। ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী সহ ছয়জনকে অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    রোববার দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তিনি চিশতী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ২০১৮  সালের অক্টোবরে মামলা করেছিলেন।

    অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের শেষের দিকে ব্যাংকের নিয়মাবলী উপেক্ষা করে ব্যাংকের ওই শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সহায়তায় মোট ২৯ কোটি ৫১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লোনের নামে আত্মসাৎ করা হয়েছিল। বর্তমানে সুদসহ ব্যাংকের  লোনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫  কোটি টাকা।

    অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, এসএ গ্রুপের এমডি (মেসার্স লায়লা বাঁনশপাতি  লিমিটেড) সাহাবুদ্দিন আলমের সংস্থার নামে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে লোনের নামে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। যদিও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় লোনের অর্থ কয়েকটি কিস্তিতে বিতরণ করার নির্দেশ দেয়, তবে অল্প সময়ের মধ্যে এই শাখাটি থেকে অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল। গ্রাহক সহজেই গ্রাহক অর্থ প্রত্যাহার করতে সক্ষম হন। এই অনুমোদন, বিতরণ এবং আত্মসাৎ করার ক্ষেত্রে চিশতীর প্রত্যক্ষ হাত ছিল।

    যদিও ব্যাংকের ওই শাখার অনুমোদনের চিঠিতে বিদেশী এলসির উল্লেখ রয়েছে, সমস্ত অর্থ প্রদান স্থানীয় এলসির বিরুদ্ধে করা হয়েছে। গ্রাহকের এলসি সুবিধার বিরুদ্ধে আসলে কোনও পণ্য আমদানি করা হয়েছিল কিনা তাও ব্যাংকটি যাচাই করে নি। আমদানিকৃত পণ্য থেকে উত্পাদিত পণ্যগুলির সাথে কী করা হয়েছিল সে সম্পর্কে শাখাটি কোনও প্রতিবেদন পায়নি।

    মামলার অপর ছয় আসামি হলেন, এসএ গ্রুপের এমডি সাহাবুদ্দিন আলম, তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন আলম, ফার্সার ব্যাংকের প্রাক্তন এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মোশতাক আহমেদ, বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি ও সিইও, একেএম শামীম, সাবেক এমডি ও সিইও ব্যাংক এবং বাবুল চিশতির ছেলে রাশেদুল হক চিশতী। ।

    এ মামলায় ব্যাংকের এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে আদালতে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ না থাকায় তাদের নাম অভিযোগপত্রে বাদ দেওয়া হয়েছে।

    জানা গেছে, ব্যাংক এশিয়ার চট্টগ্রাম সিডিএ অ্যাভিনিউ শাখা থেকে৬০০৯.২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহাবুদ্দিন আলমকে ২০১৬ সালের অক্টোবরে রাজধানী থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।

    মন্তব্য করুন