পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নেমেছে
সারা দেশে শীতের আমেজের পাশাপাশি, গত কয়েকদিন ধরে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত, সমগ্র রংপুর বিভাগে শীত শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রংপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস বইছে। একই সাথে মাঠে-ঘাটে শিশিরের ছোঁয়া পড়ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত আশেপাশের এলাকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকবে। দিনের বেলাতেও কিছু জায়গায় কুয়াশা দেখা যাবে। কারণ বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। ফলস্বরূপ, সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো পৌঁছায় না, ফলে রাতে দ্রুত ঠান্ডা এবং সকালে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। এই ধরণের আবহাওয়া সাধারণত শীত ও গ্রীষ্মের মোড়ের সময় দেখা যায়। তবে এর একটি প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর), একই স্থানে তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, একদিনে তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। অটোচালক আলম হোসেন বলেন, “সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালালেও সামনের রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। এখন, সকালে খুব বেশি যাত্রী নেই।” মোটরসাইকেল চালক করিম হাসান বলেন, “আমি সকালে জরুরি কাজে বেরিয়েছিলাম, কিন্তু এই ঠান্ডায় আমার হাত অবশ লাগছে।”
এদিকে, তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বর্তমানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর, ডিসেম্বর জুড়ে পঞ্চগড় এবং আশেপাশের এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

