নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে।
নিহত রবি আলম (৪) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের ছেলে ও ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের ৬ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা (৩) নামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সোফি আলমের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়েছিল।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জোবায়দা (২২), রাশমিদা (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫) চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তদন্ত শেষে জানা যায়, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাসেল (৪) নামে এক শিশুকে গত শনিবার সন্ধ্যায় মৃত ঘোষণা করা হয়। আজ সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা ও একই দিন সন্ধ্যায় রবি আলম নামে আরেক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাকি ৪ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে রোসমিনার ৫০ শতাংশ, রবি আলমের ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ, সোহেলের ৫২ শতাংশ ও জোবায়দা ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আহতদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাই তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠান।