আন্তর্জাতিক

নেপালে অস্থিরতা থামছে না – বিক্ষোভ চলছে, কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরেও নেপালে অস্থিরতা থামছে না। দেশের অনেক জায়গায় এখনও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী এবং জনসাধারণ বিক্ষোভ করছে। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের দুটি জেলার কারাগার থেকে শত শত বন্দি পালিয়ে গেছে। নেপালের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানী কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহরে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনও কারফিউ বলবৎ রয়েছে, যা আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে। তবে দাবি করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে, লুটপাটের অভিযোগে ২৬ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা কর্মীরা। অন্যদিকে, নেপালের রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাউডেল সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) যখন সোশ্যাল মিডিয়া খুলে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে, গতকাল তিনি পদত্যাগ করেন।
এরপর তাকে ঘিরে দেশ ছেড়ে যাওয়ার গুজব ওঠে। শোনা যাচ্ছে যে, তিনি দেশ ছেড়ে দুবাইতে বসবাস করতে পারেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রাসঙ্গিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। বলা হচ্ছে যে, কেপি শর্মা ওলি একটি ব্যক্তিগত জেট ব্যবহার করে নেপাল ত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন।
এর আগে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী এবং জনতা বালাকোটে তার বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। মঙ্গলবার অফিস ছাড়ার পরপরই কেপি শর্মা ওলিকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।