• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যর দাবি

    গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য (বিট্রেন)। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায়।

    যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে বলেছে, “গণতান্ত্রিক নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার উপর নির্ভর করে।” মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি। নির্বাচনের আগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই। রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই। সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। সে কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ভোট দেওয়ার পর্যাপ্ত বিকল্প ছিল না।

    যুক্তরাজ্য আরেকটি বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। একটি টেকসই রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং একটি সক্রিয় সুশীল সমাজের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ দেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধিকে সক্ষম করবে।

    এদিকে, এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।” ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিনের অনিয়মের খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সাথে একমত যে নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি এবং আমরা হতাশ যে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

    অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অধিকৃত দেশ চীন, ভারত, জাপান, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ বলে ঘোষণা করেছে।