• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    নির্বাচনের রাতে গণধর্ষণ: ১০ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে বহুল আলোচিত নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    একই সঙ্গে তাদের জরিমানা করা হয়।

    সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং একজন আসামি পলাতক ছিলেন।

    দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুবর্ণচর মধ্যমবাগ গ্রামের মোঃ সোহেল (৩৮), মোঃ হানিফ (৩০), স্বপন (৪২), মোঃ চৌধুরী (২৫), ইব্রাহিম খলিল বেচু (২৫), মোঃ বাদশা আলম বসু (৪০), মো. আবুল হোসেন আবু (৪০), মোশাররফ (৩৫), মোঃ সালাউদ্দিন (৩২), মোঃ জসিম উদ্দিন (৩২), মোঃ হাসান আলী বুলু (৪৫), মোঃ মুরাদ (২৮), মোঃ জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (২৮)। ও মোঃ সোহেল (২৮)। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোঃ মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) পলাতক রয়েছে।

    মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রাখা অবস্থায় এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রের লোকজন তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সদস্য রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ আহমদ সোহেল খান জানান, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জনকে সাক্ষ্য দিয়েছে। আসামিদের পক্ষ থেকে পাঁচজন সাক্ষী হাজির করা হয়। তবে ভোটকেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী তাদের জবানবন্দিতে উল্লেখ করেননি।