নির্বাচনের মাঠে ব্যস্ততা।প্রার্থীরা প্রায় ১০ মাস পরে প্রচারে ফিরলেন। গণসংযোগ জনস্রোতে
প্রচারের প্রথম দিনেই ব্যস্ত নির্বাচনের মাঠ। গতকাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হলে ৭ জন মেয়র প্রার্থী ও ২৩৭ কাউন্সিলর প্রার্থী শুক্রবারের নামাজ শেষে নিজ নিজ এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে গণসংযোগ শুরু করেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় শুক্রবার জুমার নামাজ ও কবরস্হানে মুরব্বি ও মাজার জেয়ারত শেষে চট্টগ্রামে ভোটের পরিবেশ শুরু হয়। প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডাঃ শাহাদাত হোসেন) ও অন্যান্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা শুক্রবার নামাজের পর মাঠে নামেন । শহরের গলি এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টার এবং ব্যানার সাজানো হয়েছে। গতকাল প্রথম দিনেই শহরটি ব্যানার পূর্ণ ছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ২ টা থেকে ওয়ার্ডগুলিতে প্রার্থীদের নামে মাইকিং শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই প্রচারণাটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়। তবে চকবাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতার শন্কা দেখা দিয়েছে। প্রথম দিন দুটি প্রধান দলের প্রার্থী সহ বহু লোক নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিপুল সংখ্যক নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে প্রচার চালিয়েছেন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার শুরু করলেও প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী হলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেনের জনসংযোগ সাইটগুলি জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক প্রাপ্তির পরে করোনার মহামারির কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত করা হয়। প্রায় ১০ মাস পর ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। করোনার সময়কালে চার ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই ওয়ার্ডগুলিতে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়। পুরনো প্রার্থীদের সাথে ছয়টি নতুন প্রার্থী যুক্ত করা হয়েছে। তারা গতকালও প্রতীক পাওয়ার পরে মাঠে নেমেছে।
এদিকে, রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, প্রচারে আচরণবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে মাঠ পর্যায়ে ডিউটিতে থাকবেন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী শুক্রবার বাহাদদারহাটের বাহদ্দার বাড়ী জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা-মা ও পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক মেয়র, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাসির উদ্দিন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো: শাহাদাত হোসেন: হযরত আমানাত শাহ (রা 🙂 জেয়ারতের পড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি উৎসব মূখর পরিবেশে গণসংযোগ শুরু করেন। শাহাদাত হোসেন। জনসভায় তিনি তার ধানের শীষ প্রতীকে ভোটের জন্য দোয়া চান। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেনের সাথে ছিলেন কেন্দ্র ও নগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
এদিকে, গতকাল নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেন।