• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    নির্বাচনী প্রচারে মানতে হবে ইসির যেসব নির্দেশনা

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রচারণার সুযোগ পাবেন ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের ইসির নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

    যত্রতত্র পোস্টার, মিটিং, মাইক ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

    প্রতীক পাওয়ার পরপরই  প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করবেন। প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি রাত ৮ টা পর্যন্ত ১৮ দিন প্রচারণা চালাতে পারবেন।

    সংসদ নির্বাচনে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে ইসি। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে, সংসদীয় নির্বাচনী আইন নং ১০-এ রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে।

    সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে বিধি ৬ থেকে ১৪ বিধির বিধান অনুসরণ করবেন। এই নিয়মের অন্তর্ভুক্ত কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হল-

     (ক) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির প্রচারণার সমান অধিকার থাকবে। তবে বিরোধীদের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অন্যান্য প্রচারণায় বাধা দেওয়া যাবে না।

    (খ) সভার দিন, সময় এবং স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিন। যাইহোক, লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সময়ের ক্রমে এই ধরনের অনুমতি দেওয়া হবে।

    (গ) সভা করিতে চাইলে, তবে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাবিত সভার স্থান ও সময় সম্পর্কে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা আগে অবহিত করতে হবে, যাতে পুলিশ প্রশাসন ট্রাফিক ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

    (ঘ) জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা বা পথসভা করবেন না এবং অন্য কোনো ব্যক্তি তাদের পক্ষে একইভাবে কোনো জনসভা বা পথসভা ইত্যাদি করবেন না।

    (ঙ) সভার আয়োজকরা যে কোনো সভার কার্যক্রমে বাধা প্রদানকারী বা অন্যথায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের শরণাপন্ন হবেন এবং নিজেরা এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন না।

    পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহারে বিধিনিষেধ

    কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নিম্নলিখিত স্থান বা যানবাহনে যেমন- দালান, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুত ও টেলিফোনের খুঁটি বা শহরে অবস্থিত অন্য কোন স্থায়ী বস্তুতে কোন প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাবেন না। কর্পোরেশন এবং পৌর এলাকা; সারা দেশে অবস্থিত সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে; এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা বা অন্য যেকোন যানবাহনে: পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলগুলি দেশের যে কোনও জায়গায় ঝুলাইতে বা টাঙ্গাতে পারবে।

    এ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির ওপর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না এবং উল্লিখিত পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না।

    যানবাহন ব্যবহারের বিধিনিষেধ

    (ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌকা, ট্রেন বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যান নিয়ে কোনো মিছিল বা মশাল মিছিল বা শোডাউন করিতে পারিবে না। ;

    (গ) নির্বাচনী প্রচারণায় হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো বিমান ব্যবহার করা যাবে না। যাইহোক, এটি দলীয় প্রধানের পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে তবে পরিবহনের সময় হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোন প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করা যাবে না।