• বাংলা
  • English
  • শিক্ষা

    নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বুয়েট শিক্ষার্থীরা

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রোববার বিকেলে বুয়েটের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, “বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত সব ব্যাচের সব শিক্ষার্থীরা আজ কঠোর নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে কোনোভাবেই জড়ো হয়নি।” গতকাল রাত থেকে ক্যাম্পাসের আশপাশের সব এলাকায় ক্রমাগত মাইকিং, শিক্ষার্থীদের ফোনে হুমকি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের মিথ্যা ট্যাগ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ছবি, নাম ও পরিচয় পোস্ট করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিরক্তিকর সব অপপ্রচার চালানো হয়েছে।’

    শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় বুয়েট ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকা বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এমনকি বুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। নিরাপত্তাজনিত কারণে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আজ ক্যাম্পাস দখল করছে না তার মানে এই নয় যে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি ছাড়া ক্যাম্পাসের দাবি থেকে সরে এসেছে। এটা বুয়েটের সকল ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীর দাবি।

    শিক্ষার্থীরা জানান, আজ ছিল বুয়েটের ২০তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা। একজন নিয়মিত ছাত্র ব্যতীত সকলেই স্বেচ্ছায় বিনা বাধায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। ২০তম ব্যাচের ১ হাজার ২১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত নৈতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। গতকাল শনিবার বুয়েটের ২২তম ব্যাচের প্রথম মেয়াদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীই অংশগ্রহণ করেনি অর্থাৎ ১০০% অনুপস্থিত ছিল।

    আন্দোলন কোনো সুনির্দিষ্ট সংগঠনের বিরুদ্ধে নয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি বুয়েটের পক্ষে আন্দোলনরত বিপুলসংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিডিয়া মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা আবারো স্পষ্ট করতে চাই যে, আমাদের অবস্থান কোনো একক ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে নয়, বুয়েট ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের সকল ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে।