বাংলাদেশ

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় রাঙ্গামাটিতে ১৮২টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে

অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে হ্রদের পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে রাঙামাটি জেলার কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বাঘাইছড়ি পৌরসভা এবং জেলার ৮টি ইউনিয়ন, লংগদু উপজেলার বাগাচত্তর, গুলশাখালী, বরকল উপজেলার সদর এবং রাঙামাটি সদরের আসামবস্তি মালিপাড়ার নিম্নাঞ্চলের মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, গত রাত পর্যন্ত জেলার বাঘাইছড়ি ও লংগদুতে ১৮২টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলায় ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যদিকে, কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি পানির গেট ৩ ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আরও ৩২ হাজার কিউসেক, মোট ৯০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতের কারণে সকাল থেকে চন্দ্রঘোনা-রায়খালী নদী পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে চন্দ্রঘোনা-রায়খালী নদী পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জোয়ারের সময় স্রোতের তীব্রতা কমে গেলে ফেরি চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন