নিখোঁজ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, ইসরায়েলের মন্তব্য কী?
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজারবাইজান প্রদেশ পরিদর্শন করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ইসরাইল মন্তব্য করেছে।
সোমবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সহ রবিবার ইরান থেকে আসা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইসরায়েল। পশ্চিমাদের মতো ইসরায়েলও বিশ্বাস করে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বেসরকারী সূত্রগুলি স্পষ্ট করেছে যে ইরানের রাজধানী তেহরানের প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী জোলফা শহরের কাছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে ইসরায়েল যুক্ত বা জড়িত নয়।
জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানের অভ্যন্তরে পরিবর্তন ছাড়া ইসরায়েলের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না, কারণ ইসরায়েল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি করেন। তিনি পারমাণবিক কর্মসূচি ও ইসরায়েল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ফ্লাইট ক্রুর এক সদস্যের মোবাইল ফোন থেকে সিগন্যাল পাওয়া গেছে। সোমবার আল জাজিরা পূর্ব আজারবাইজানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) কমান্ডার আসগর আব্বাস ঘোলি জাদেহ তাসনিমকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে।
জাদেহ তাসনিম বলেন, “আমরা এখন আমাদের সমস্ত সামরিক শক্তি নিয়ে এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছি এবং আমি আশা করি আমরা জনগণকে সুসংবাদ দিতে পারব।” ওই এলাকায় বেশি সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা নেই।
এদিকে, তুরকিয়ে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে। দেশটির জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করতে তুরস্ক ৩২ জন পর্বত উদ্ধার বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে।