• বাংলা
  • English
  • বিনোদন

    নাসিরুদ্দিন বললেন, ‘তাজমহল ভেঙে ফেলুন’

    বলিউড অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহকে ২৫-এর সিরিজ ‘তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাড’-এ সম্রাট আকবরের ভূমিকায় দেখা যাবে। এই সিরিজের মূল বিষয় হবে মুঘল সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরে অজানা ঘটনা, উত্তরাধিকার সংঘাত- ইত্যাদি।

    সম্প্রতি সিরিজের প্রচারে মুঘল সাম্রাজ্য নিয়ে কথা বলেছেন নাসিরুদ্দিন। ভারতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ নাসিরুদ্দিন দাবি করেন, “মুঘলরা যদি সব অন্যায় করে থাকে, তাহলে তাজমহল, লাল কেল্লার মতো স্মৃতিস্তম্ভগুলো ভেঙে ফেলা উচিত।” তার মতে, মুঘলদের গৌরব করা উচিত নয়, তবে তাদের অপমান করাও উচিত নয়।

    নাসির বলেন, এ দেশে সুস্থ বিতর্কের সুযোগ নেই। যারা তার বিরোধিতা করতে অভ্যস্ত তারা তার বক্তব্যের দিক বোঝে না। যুক্তির অভাব, ইতিহাস চেতনা বাড়ছে। বিদ্বেষও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই বোধ থেকেই ভারতের জনগণের একটি অংশ অতীতের সবকিছুকে নিন্দার চোখে দেখে। বিশেষ করে মুঘলদের। এটা তাকে এখন রাগান্বিত করার চেয়ে বেশি আনন্দিত করেছে। নাসিরের কণ্ঠে স্পষ্ট ব্যঙ্গাত্মক। অভিনেতা বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে, শাসক দল এবং সরকারের মন্ত্রীরা ক্রমাগত মুঘল যুগকে অপমান করে চলেছেন। গত কয়েক বছরে চল্লিশটি শহরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা মুঘল নামের স্মৃতি বহন করে।’

    এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবন ‘মুঘল গার্ডেন’-এর নাম বদলে ‘অমৃত উদ্যান’ করা হয়েছে। নাসিরের মতে, এটি একটি সমান্তরাল ইতিহাস সৃষ্টির প্রয়াস। তিনি মনে করেন, মুঘলদের সব কাজ ধ্বংস করার প্রবণতা রয়েছে। নাসির বলেন, এটা খুবই মজার। জনসাধারণ আকবরের মতো সম্রাট এবং দস্যু নাদির শাহর বা তৈমুরের মধ্যে পার্থক্য জানে না। তৈমুর এসেছিল লুটপাট করতে, মুঘলরা এই দেশকে নিজেদের বাড়ি করতে চেয়েছিল। তাদের অবদান কে অস্বীকার করতে পারে?”

    শাহ স্বীকার করেন যে পাঠ্য ইতিহাস দেশীয় ঐতিহ্যের চেয়ে মুঘলদের প্রতি বেশি পক্ষপাতিত্ব দেখায়। তিনি মনে করেন যেহেতু তারা যে ইতিহাস পড়েছেন ইংরেজদের লেখা, সেহেতু ভারতীয় ঐতিহ্য যেমন গুপ্ত সাম্রাজ্য ইত্যাদি সেভাবে আসেনি। নাসিরের মতে, “মানুষের চিন্তা সবসময়ই সত্য। আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের তুলনায় মুঘলরা ইতিহাসে মহিমান্বিত হতে পারে, কিন্তু তাদের খলনায়ক বানানোও অযৌক্তিক।

    মন্তব্য করুন