নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের ঘটনা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বিশ্বাস করে যে সামাজিক কলঙ্ক, আর্থিক অস্থিতিশীলতা, দৃশ্যমান অক্ষমতা, অবহেলা ও আইন প্রয়োগের পক্ষ থেকে অবহেলা ও পক্ষপাতিত্বের কারণে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক আকারে পৌঁছেছে।সময়মতো অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে ধর্ষণের মতো অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনটি নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ায় কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। টিআইবি নারী ও কন্যা শিশু প্রতি সহিংসতা রোধে ১৬দিনের বৈশ্বিক প্রচারের প্রাক্কালে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির আহ্বান জানিযয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মো। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, করোনার মহামারীটি নারীর প্রতি সহিংসতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংকটকে বহুগুণে বাড়িয়েছে। একটি বেসরকারী সংস্থা নির্যাতিত মহিলাদের আইনী সহায়তা প্রদান করে, নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলি গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চ-এপ্রিলে ৭০ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে পারিবারিক নির্যাতনে খুন হয়েছেন ২৩৫ জন নারী। একইসঙ্গে, ধর্ষণের মতো পাশবিক অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের অভাবে ক্রমান্বয়ে তা মহামারির মতোই ছড়িয়ে পড়ছে।
এ জাতীয় বাস্তবতায় সরকার, সংশ্লিষ্ট সরকারী বেসরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ছাড়াও জনগণকেও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে এবং নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তিনি আরও যোগ করেন, দোষীদের কঠোর শাস্তির নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের এবং তাদের পরিবারকেও সকল প্রকার সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান করতে হবে।