নানা সমস্যায় সেটেলমেন্ট আদালত। অনুমোদন মেলেনি ১০ মাসেও
দেশে পরিত্যক্ত বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতে রাজধানীতে দুটি পৃথক সেটেলমেন্ট আদালত রয়েছে। তবে, সরকারের অনুমোদনের অভাবে আদালতে ১০ মাস ধরে দুটি কার্যক্রম পরিচালনা করতে অনুমতি পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে বাড়িঘর ফেলে পাকিস্তান চলে গেছে। তখন সরকার এসব বাড়িকে পরিত্যক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে। ১৯৮৬ সালে এসব বাড়ির বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়। এর মধ্যে সরকারের দখলে থাকা বাড়িগুলো ‘ক’ তফসিলভুক্ত এবং ব্যক্তির দখলে চলে যাওয়া বাড়িগুলো ‘খ’ তফসিলভুক্ত। এসব বাড়ির বিষয়ে করা মামলার বিচারের জন্য ১৯৮৬ সালে দুটি আদালত গঠন করে সরকার। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ৫নং টিনশেডে (১২ তলা ভবনের পাশে) আদালত দুটির অবস্থান। এর মধ্যে ‘প্রথম কোর্ট অব সেটেলমেন্ট’ শুধু ঢাকার পরিত্যক্ত বাড়ি এবং ‘দ্বিতীয় কোর্ট অব সেটেলমেন্ট’ ঢাকা ছাড়া সারাদেশের পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মামলার বিচার করে। প্রথম আদালতে ২৬৮টি এবং দ্বিতীয় আদালতে ১৬১টি মামলা বিচারাধীন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের মতে আদালত পহেলা জুন থেকে ৩১ শে মে পর্যন্ত এক বছরের জন্য এই অনুমোদন দিয়েছে।
চেয়ারম্যান ও দুই সদস্য নিয়ে গঠিত প্রথম নিষ্পত্তি আদালত, সূত্র জানায়। একইভাবে গঠিত দুই নম্বর কোর্ট। তিনজনের যে কোনও একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতে বসার সুযোগ নেই। ফলস্বরূপ, প্রার্থীদের অবস্থা সঙ্কটজনক।
জানা গেছে, বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হলেও সেটেলমেন্ট আদালত এর কোনও পরিবর্তন হয়নি। ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, টিনশেড ভবনে অবস্থিত সেটেলমেন্ট আদালত এক নাম্বার ও দুই নাম্বার সিটিং রুমগুলি বন্ধ রয়েছে। ঘরে ময়লা ও আবর্জনা। ফলে বিচারিক প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।