নদী ভাঙ্গন বড় সমস্যা ছিল, নিরসন করা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, নদীভাঙন নির্বাচনী এলাকার একটি বড় সমস্যা। এটি সমাধান করা হয়েছে। এ আসনে নৌকার আগে আরও ৩২ জন সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু ভোট দিয়েও আপনি এমপিদের কাছে পাননি। কিন্তু ওই সময় যারা এমপি হয়েছেন তারা নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করেননি। তারা রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেনি। যেহেতু তারা উন্নয়ন করেনি, তাই আমরা নৌকা ছাড়া অন্য কারো কথা বলতে পারি না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নৌকা প্রতীক দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে বলেই আজ আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি। গত ১৫ বছর ধরে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ আসন থেকে আমাকে নৌকা প্রতীকে পুনঃনির্বাচিত করলে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। আমি এলাকার বাকী অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে জনগণের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা চাকরি পাবে। স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে গত ১৫ বছরে চাঁদপুর-৩ আসনে ৪৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক, মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেরিন ইনস্টিটিউট, ফিশারিজ ইনস্টিটিউট এবং বিদেশি পর্যটকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর সদর আসনে ভোটার রয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার। এত অল্প সময়ে সবার কাছে পৌঁছানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আপনারা যারা আজ এসব সমাবেশে এসেছেন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার জন্য নৌকায় ভোট চাইবেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, সদস্য ডা. হাসান খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার খানসহ ইউনিয়ন আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।