• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    নতুন সরকারের ১১ দফা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে নতুন সরকারের ১১ দফা পরিকল্পনার কথা সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করা হবে।
    জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী তার প্রশ্নে ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা কী হবে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’, সে সময় তাতে ‘২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ এবং ‘নিরাপদ বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার রূপরেখা ছিল। ২১০০ সালে ব-দ্বীপ।”
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নত বাংলাদেশের যাত্রার প্রথম ধাপ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। মাথাপিছু গড় আয় পাঁচ হাজারের উপরে হলে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ৯০৬ ডলার এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে যার মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি হবে।’
    বাংলাদেশে জিডিপির বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, ২০৩১ সালে ৯ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।’
    ২০৩১ সালের মধ্যে দেশের চরম দারিদ্র্যের অবসান হবে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে।’
    এ কারণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ১১টি সারসংক্ষেপ সংসদে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে যথাযথ সময়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।
    ১১ দফা পরিকল্পনায় আগামীতে সরকার গঠিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগের ভিশন রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটির ওপর ভিত্তি করে।
    এ লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাড়ানো হবে। গড়ে উঠবে ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প। তিনি বলেন, সড়ক, নৌ, রেল ও বিমান ভ্রমণে গৃহীত সব প্রকল্পই শেষ করা হবে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সরকার প্রধান বলেন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে সরকার গঠিত হলে ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজে বের করবে এবং ডিজিটাল ডিভাইসের নিজস্ব বাজার সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াবে।
    শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দ্বাদশ নির্বাচনে জয়ী হলে তৃণমূল থেকে জনগণের চিকিৎসা নিশ্চিত করে মানুষের মৌলিক চাহিদা, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষাসহ সব কিছুর উন্নয়ন এবং সকলের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশের মানুষ।

    মন্তব্য করুন