নতুন ইসির যাত্রা শুরু
গতকাল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের যাত্রা শুরু হলো। শপথ গ্রহণের পর সিইসি আ.ম.ম. নাছির উদ্দিন বলেন প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে, এর আগে নয়।
শপথ গ্রহণ শেষে নতুন চার কমিশনারকে নিয়ে নির্বাচন ভবনে আসেন সিইসি। এরপর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এই সময়ে কবে নির্বাচন হতে পারে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কবে হবে তা তারিখ দিয়ে বলতে পারছি না। আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করব। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। আমি শুনেছি যে এটি একটি দ্বিকক্ষীয় (সংসদ) হবে কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ আছে, কেউ কেউ চায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এই সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে নির্বাচন সংস্কারের জন্য সবার পরামর্শ নিয়েই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে জানান তিনি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে এবং এর জন্য আমরা আমাদের সর্বশক্তি নিয়োজিত করব।
এর আগে দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনকে শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচন ভবনে পৌঁছায় নতুন কমিশন। বিকাল সাড়ে তিনটায় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম ব্রিফিংয়ের কথা ছিল। তবে দুপুরের খাবারের কারণে বিকেল চারটার দিকে কমিশন বৈঠক কক্ষে পৌঁছায়। ব্রিফিংয়ের কিছুক্ষণ আগে নির্বাচন ভবনের ষষ্ঠ তলায় সভাকক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার শরিকদের বিষয়ে সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হলে বলতে পারব। এটা জাতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।” আমি এখন মন্তব্য করতে চাই না।
সরকারের সংস্কার কমিশনের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন, আপনারা আমাকে সংস্কারের সুপারিশ দিন; আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসব। রাজনৈতিক দলগুলো যে সুপারিশে একমত হবে আমরা তা গ্রহণ করব; যেখানে বিতর্ক আছে, কিছু দল তাদের গ্রহণ করবে না, আমরা পরবর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য তাদের ছেড়ে দেব।”
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী বলে তারা মনে করেন জানতে চাইলে সিইসি এক কথায় বলেন, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান। এরপর তিনি যোগ করেন, “এই কমিশন একতরফা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের কোনো দল নেই। তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। তাই আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই, কোনো চাপও থাকবে না।
Do Follow: greenbanglaonline24