• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    নকল প্রসাধনীর ব্যবসা বেড়েছে করোনায়।অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি ধরাও পড়ছে

    করোনার মহামারীর কারণে নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনীগুলির উত্পাদন ও আমদানি হ্রাস পেয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে এই ব্র্যান্ডগুলির জাল প্রসাধনীগুলির উত্পাদন ও বিক্রয় বেড়েছে। অপরাধীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। করোনায় সাধারণ ছুটির পরে গত চার মাসে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি এবং বিভিন্ন সংস্থাগুলি প্রায় ৩০ টি প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ করেছে। বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, গোয়েন্দা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব সংস্থাগুলি সিল ও জরিমানা করেছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থাটি এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে কঠোর শাস্তির বিধান চায়।সেপ্টেম্বরে নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক পণ্য জব্দ করে। এনএসআই জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গত জুলাই মাসে রাজশাহীর পুঠিয়ায় মাসুদ রানার কারখানা থেকে কোটি কোটি টাকার জাল পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করে দেয়।

    ইউনিলিভার বাংলাদেশের আইনী পরিচালক ও সংস্থা সচিব এসওএম রাশেদুল কাইয়ুম  বলেন, করোনার সময় সাধারণ ছুটিতে মনিটরিং সম্ভব ছিল না। জাল পণ্য প্রস্তুতকারীরা এই সুযোগটি নিয়েছেন। জাল পণ্য উৎপাদন বন্ধ করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও পণ্য কিনতে ক্রেতাদেরও সচেতন হওয়া দরকার। বাজারে কেবল কসমেটিকসই নয়, জাল ও অবৈধ পণ্য বাজারে ছাড়া হচ্ছে ওষুধ, সিগারেট, মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস, বিদ্যুতের হার, জাল রাজস্ব স্ট্যাম্প সহ। ফলস্বরূপ, সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী স্তরের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে জাল পণ্য উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ না করা হলে তা কেবল দেশের অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে না, স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলবে। তাই নকল পণ্যের উৎপাদন বন্ধে সরকারের উচিত অগ্রাধিকার দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে জাল পণ্য প্রস্তুতকারীদের শাস্তি বাড়াতে হবে।

    মন্তব্য করুন