ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক আজিজুর জামিনে মুক্ত
আদালত রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে (২৭) জামিন দিয়েছে, যাকে প্রথমে মারধর করা হয়েছিল এবং পরে মৃত্যুবার্ষিকীতে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রবিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম এম. এ. আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানির পর তাকে জামিন মঞ্জুর করেছে। আজিজুর রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানির পর বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। আজিজুরের আইনজীবী বলেন, তার মুক্তিতে কোনও বাধা নেই। ৪ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ মো. আরিফুল ইসলামের হত্যাচেষ্টা মামলায় ধানমন্ডি পুলিশ শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে আদালতে হাজির করে। পরে, ঢাকা মহানগর হাকিম ইসরাত জেনিফার জেরিন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান আজিজুরকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি গণমাধ্যমকে বলেন, ৩২ নম্বরে ফুল দিতে আসার পর রিকশাচালককে ‘জনতার সহিংসতার’ শিকার হতে হয়েছে। এখন তাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধানমন্ডিতে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে আজিজুর বলেন, ‘আমি কোনও দলের নই। আমি কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। সেজন্যই এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। সেজন্যই আমি আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।’ আরিফুল হত্যাচেষ্টা মামলার জবানবন্দিতে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে অভিযুক্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি, পেট্রোল বোমা এবং হাতবোমা নিক্ষেপ করে। আরিফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে দুই মাস চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। পরবর্তীতে, এই ঘটনায় ২ এপ্রিল তিনি ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।