জাতীয়

ধর্ম।বিশ্বকাপের ট্রফির সাজে পূজামণ্ডপ

শহরের ব্যস্ত রানীবাজার মোড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করলে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ আটকে যায় যাত্রীদের। আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে এখানকার টাইগার সংঘের পূজামণ্ডপ। প্যাভিলিয়নের উপরে কাতার বিশ্বকাপের বিশাল ট্রফি ঝুলছে। সামনে তারকা ফুটবলারদের প্রতিকৃতি।

অন্যদিকে, ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ স্লোগানে সেজেছে নগরীর সাগরপাড়ার শিবালয় মন্দিরের মণ্ডপ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা দেয়াল জুড়ে বসানো হয়েছে। এই দুটি ভিন্ন মণ্ডপ থেকে সেলফি নিয়ে দর্শনার্থীরা আসছেন এবং ফিরে যাচ্ছেন।

প্রতি বছর টাইগার সংঘ শারদীয় দুর্গাপূজায় একটি ভিন্ন থিম নিয়ে হাজির হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এর আগে করোনাভাইরাস, আইয়ুব বাচ্চুর সিলভার গিটার, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বাহুবলী, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে আলোচিত হয় টাইগার সংঘ। আগামী মাসে ফুটবল বিশ্বকাপের জমকালো আয়োজন। সেই ভাবনা থেকেই বিশ্বকাপ ট্রফির আদলে সাজানো হয়েছে এই মণ্ডপ।

টাইগার সংঘের সভাপতি সুশীল কুমার আগরওয়ালা বলেন, বিশ্বের ২০০-৩০০ কোটি মানুষ কাতারের বিশ্বকাপ দেখবে এবং এর সাথে যুক্ত থাকবে। এই সম্পৃক্ততার বার্তা দিতে তারা মণ্ডপে ২৬ ফুট উঁচু ট্রফি রেখেছে। পেছনে বিশাল সবুজ মাঠ। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের পতাকা উভয় পক্ষের হাতে রয়েছে। বিশ্বকাপে অংশ না নিলেও সবার ওপরে দেশের পতাকা। মণ্ডপের সামনে ১১ জন খেলোয়াড়ের আদলে ১১টি দেশের জার্সি পরা খেলোয়াড়দের প্রতিকৃতি রয়েছে। সবাই একে অপরের হাত ধরে আছে। তারা ফুটবলের মাধ্যমে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

শিবালয় পূজামণ্ডপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিমান চক্রবর্তী বলেন, ‘সারা বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলছে। যুদ্ধ কখনো কারো কাম্য হতে পারে না। আমরা যুদ্ধের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে চাই যে জাতি এবং সমগ্র বিশ্বে আমরা শান্তি চাই। আমি চাই যুদ্ধ বন্ধ হোক। সবাই যাতে ছবিগুলো দেখে এবং যুদ্ধের ভয়াবহতা বুঝতে পারে সেজন্য আমরা ছবিগুলো রেখেছি।’

এবার রাজশাহী মহানগরীতে ৭৬টিসহ সারাদেশে ৪৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মণ্ডপগুলোতে আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি তৎপর রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় তৎপর রয়েছে। এ ছাড়া ডিজিটাল মাধ্যমে যাতে কোনো সাম্প্রদায়িক উসকানি না ছড়ায় সেদিকে নজরদারি রয়েছে।

মন্তব্য করুন