• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২২১২ মৃত্যু ৩৯ জন। মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই, বাড়ছে করোনা।

    দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ভাইরাসটি গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯ জন মারা গেছে, ৫৬ দিনের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা। একই সময়ে, আরও ২,২১২ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। এটিও গত ৭ দিনে সংক্রমণের সর্বাধিক সংখ্যা। এ বছর সেপ্টেম্বর থেকে করোনার সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে, ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। মৃত্যুও হ্রাস পায়। তবে শীতের মৌসুম শুরু হওয়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ বা নতুন সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। তাদের অনেকের মতে, সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবেলায় সরকার আগেই সতর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরে এবং এই মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দু’বার এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্নিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সংক্রমণ রোধে জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দিয়েছেন। এর পরে সরকার ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং ‘মাস্ক নো এন্ট্রি’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার একটি ঘোষণাও করা হয়েছে। সীমিত পরিমাণে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাস্ক ব্যবহার না করার জন্যও বেশ কয়েকজন লোককে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এর পরেও, মাস্ক ব্যবহারে কোনও আগ্রহ নেই।

    স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত :করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান আমাদেরকে বলেন, হাতেগোনা কয়েকটি আরটিপিসিআর মেশিনের স্থানে এখন সারাদেশে ১১৭টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আরটিপিসিআর মেশিন আরও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে অ্যান্টিজেন টেস্টও দ্রুতই শুরু হবে। কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রয়েছে। অধিকাংশ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ভেন্টিলেটরের পাশাপাশি অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। আইসিইউর শয্যা সংখ্যাও বেড়েছে। শুরুতে করোনার চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যে ভীতি ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। সুতরাং দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ: বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ পরিচালনা করতে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে, তারা অ্যান্টিজেন অর্থাত্ দ্রুত পরীক্ষার কিট ব্যবহার শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা কার্যকর করছে। এ কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে সংক্রমণ ততটা তীব্র আকার ধারণ করতে পারেনি। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কম। মাস্ক ব্যবহার করছেন না, এমন বেশকিছু ব্যক্তিকে দণ্ডও দেওয়া হয়েছে। অতএব সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করুন।

    মন্তব্য করুন