বিবিধ

দুর্ঘটনা রোধে বঙ্গবন্ধু টানেলে স্পিড ক্যামেরা বসছে

গত শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয় একটি বাস। গুরুতর আহত হয়েছেন চারজন। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাতে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। ঘনঘন দুর্ঘটনার মুখে কর্তৃপক্ষ টানেলে স্পিড ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টানেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলছেন, সুড়ঙ্গে ঢোকার পর চালক গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। অনেকেই গাড়ি থামিয়ে সেলফি তোলেন। ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু টানেলে গাড়ি থামানো ও নামানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

যানবাহনের গতি পর্যবেক্ষণ করতে এবং নির্দেশ অমান্যকারীদের চিহ্নিত করতে স্পিড ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের উপ-পরিচালক (অ্যাপ্রোচ রোড, সার্ভিস ফ্যাসিলিটিজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট) মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মোটর গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে টানেলের প্রবেশপথ ও ভেতরসহ বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতির সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছে। নিয়মিত মাইকিংও করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যানবাহনের গতি নিরীক্ষণ এবং নির্দেশ অমান্যকারীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত স্পিড ক্যামেরা বসানো হবে। তবে কবে নাগাদ স্পিড ক্যামেরা বসানো হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, টানেলের ভেতরে স্পিডগান রাখা হয় না। সেখানে স্পিড ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্পিড ক্যামেরা বেপরোয়া গতিতে চলা গাড়ি, ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গকারী গাড়ির ছবি সংরক্ষণ করে।

পরে ওই গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করে জরিমানার বিবরণ ছবিসহ মালিকের কাছে পাঠানো যাবে। তাই স্পিড ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন বলেন, শুক্রবারের দুর্ঘটনার বিষয়ে টানেল কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো মামলা করেনি। মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুড়ঙ্গের ভিতরে উল্টো দিকে গাড়ি চালানোর বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ বিষয়ে ওসি বলেন, শনাক্ত হওয়া গাড়িগুলোর মালিকানা পরিবর্তন হওয়ায় প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে কিছুটা সময় লাগছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।