• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    দুবাই পুলিশ আরভকে খুঁজছে

    দুবাইয়ের বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম আরভকে খোঁজা হচ্ছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রেড নোটিশ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল। এদিকে দুবাই পুলিশও তাকে খুঁজছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দুবাই ছেড়ে যেতে পারেন। আরভ খান নামে তার ভারতীয় পাসপোর্টে মার্কিন ও কানাডার ভিসা রয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    সোমবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আরভ খানের সঙ্গে সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সম্পর্ক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা যথাসময়ে আপনাদেরকে জানাব।

    তিনি আরও বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রের নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। খবর এসেছে, ইন্টারপোল পেয়েছে। এখন বাকিটা তারাই করবে। নোটিশটি অবশ্য ‘আরভ খান’-এর নামে থাকবে না। পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলামের নামে নোটিশ জারির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    গতকাল বিকেল পর্যন্ত ইন্টারপোলের রেড নোটিশ তালিকায় বাংলাদেশের ৬২ জনের নাম পাওয়া গেছে। আরভ খান বা রবিউল ইসলাম নামে কেউ নেই। ইন্টারপোলের আট ধরনের নোটিশের মধ্যে একটি রেড নোটিস ইস্যু করার অর্থ হল যে ব্যক্তিকে বিচার বা মৃত্যুদণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার এবং বিচার বিভাগ চায়। সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইন্টারপোলের মাধ্যমে পলাতকদের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। যদি বাংলাদেশ সরকার একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায় এবং সে দেশের সরকার তার তদন্তে সন্তুষ্ট হয়, তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে পারে। সেক্ষেত্রে সে দেশের সরকার তার বিচার শুরু করবে। এবং বিচারের মুখোমুখি করার জন্য তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ও দুবাইয়ের মধ্যে এই চুক্তি নেই।

    এদিকে আরাভ খান তার ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন গল্প প্রচার করছেন। সেখানে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাকে বিপদে ফেলছে। আমি দোষী কি না- সেটা আদালত দেখবে। আমাকে কেন খুনি বলা হবে? দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিবেন। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা। যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলেও জানিয়েছেন এই বিতর্কিত ব্যক্তি।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, আরভের গতিবিধির তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা থাকায় আরভ দুবাই ছেড়ে যেকোনো দেশে পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তবে তার নামে এখনো কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশে এসেছেন এমন কোনো তথ্য নেই। ধারণা করা হচ্ছে, আরভ ভিন্ন নামে পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে এসেছেন।

    মন্তব্য করুন