• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    দিল্লিতে শুরু হচ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন।সীমান্ত হত্যা, বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা নিয়ে আলোচনা

    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে চার দিনব্যাপী ৫৩তম সীমান্ত সম্মেলন রোববার শুরু হয়েছে। সম্মেলনটি ভারতের নয়াদিল্লির বিএসএফ চাওলা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল সম্মেলনের প্রথম দিনে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ছাড়াও সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা ও তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়।

    সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।

    অন্যদিকে, সুজয় লাল থৌসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেন বিএসএফের মহাপরিচালক ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দপ্তর, ফ্রন্টিয়ার আইজি এবং ভারতের সিনিয়র অফিসাররা রয়েছেন

    বিজিবি জানায়, সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, আহত ও গ্রেপ্তার; ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ পণ্য পাচার বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়।

    এর বাইরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ; সীমান্তের দেড়শ গজের মধ্যে অননুমোদিত উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থবির উন্নয়ন কাজের নিষ্পত্তির বিষয়ে আলোচনা হয়।

    এ ছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্ত খালের বর্জ্য অপসারণের জন্য উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জোকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় চালু; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্প এবং তাদের কার্যকলাপের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে তথ্য বিনিময়; বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতীয় টেলিকম নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ রোধ করা; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ‘ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা ও সদ্ভাব বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

    সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে বিজিবি বর্ডার ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (সেপ্যাকস) প্রধান উদ্যোক্তা মানোয়ারা বেগম, সেপ্যাকস-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএসএফ স্ত্রী কল্যাণ সমিতির (বিডব্লিউডাব্লিউএ) সভাপতি ড. অজিতা থৌসেন তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সংগঠন. এ ছাড়া তিনি বিডব্লিউএ আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।

    ১৪ জুন ‘জয়েন্ট ডিসকাশন ডকুমেন্ট’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলনের পর ওই দিনই বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল দেশে ফিরবে।