দিবস পালনে নতুন বিজ্ঞপ্তি
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দিনগুলি কিভাবে পালন করা যায় সে সম্পর্কে সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এজেন্সিগুলিকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন / উদযাপন’ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। একই সাথে, ২০১২ সালের ৮ ই নভেম্বর জারি করা বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়েছে। আগের মতো, সমস্ত দিবস তিনটি বিভাগে রাখা হয়েছে। ‘ক’ শ্রেণিতে ১৮ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন ধরণের দিন ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি আরও কিছু দিবস পালন করে যা প্রচলিত। কিছু ক্ষেত্রে এগুলি পুনরাবৃত্তিযোগ্য এবং বর্তমান সময়ে খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। সময় এবং সংস্থান সাশ্রয় করার জন্য সরকারী সংস্থাগুলি এ জাতীয় দিবসগুলো পালন এড়াতে পারে।
শিক্ষা সপ্তাহ, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ, বিজ্ঞান সপ্তাহ, বিশ্ব বুকের দুধ খাওয়ানো সপ্তাহ (১-৮ আগস্ট), বিশ্ব শিশু সপ্তাহ (২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর), সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর), পুলিশ সপ্তাহ, বিজিবি সপ্তাহ, আনসার সপ্তাহ, বৃক্ষরোপণ অভিযান ও জাতীয় ক্রীড়া সপ্তাহ উদযাপন সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এই কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় দিবসগুলি ছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল যে দিনের সাজসজ্জা যতটা সম্ভব এড়ানো উচিত। তবে রেডিও এবং টেলিভিশনে সীমিত আকারে আলোচনা ও সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে। কর্ম দিবসে সমাবেশ বা মিছিলগুলি এড়ানো হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে কোনও সপ্তাহের তফসিল তিনদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে কোনও সরকারী উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি অফিসের কাজকর্মকে ব্যাহত না করে এবং ছুটির দিনে বা অফিসের সমযয়ের পরে আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার চেষ্টা করবে না।” নগদ বা উপকরণ আকারে অর্থ বা সংস্থান ব্যয় করতে হবে এমন সাধারণ ইভেন্টগুলি ছুটির দিনে বা কার্যদিবসের দিনে আয়োজন করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বার্তার প্রচার, পতাকা উত্তোলন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ব্যক্তিগত আলোচনা সভা, রেডিও এবং টেলিভিশন আলোচনা, সংবাদপত্রগুলিতে প্রেস রিলিজ ইত্যাদি। অফিসার ও কর্মচারীদের রাজধানীর বাইরে থেকে নিয়ে আসা যতটা সম্ভব এড়ানো উচিত।