দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ?

অল্প কিছু খাবারই ডিমের মতো পুষ্টিকর। ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ডিমে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, চর্বি, ক্যারোটিনয়েড, লুটেইন, জিক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলো একত্রিত হয়ে ডিমকে একটি সুপার পুষ্টিকর খাবার হিসেবে গড়ে তোলে। এ কারণে নিয়মিত ডিম খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা।

কিন্তু বর্তমানে ডিম নিয়ে নানা মত দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ দাবি করেন যে দিনে অনেকগুলো ডিম খেলে শরীরে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এ কারণে দিনে কতটি ডিম খাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে কোনো দুরারোগ্য রোগ না থাকলে ডিম সহজেই খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দিনে ১টি আস্ত ডিম খেতে পারেন। তবে একদিনে এর বেশি খাবেন না। কিন্তু ডিমের সাদা অংশে শুধু প্রোটিন থাকে। একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাই সুস্থ মানুষ চাইলে দিনে ৩ থেকে ৪টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই।

আজকাল, অনেকেই নিয়মিত জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে থাকেন। এই ব্যক্তিদের জন্য প্রোটিনের উত্স হিসাবে ডিমগুলিও প্রথম পছন্দ হতে পারে। আসলে, ডিমের প্রোটিন সহজেই শরীর দ্বারা শোষিত হয়। ফলে পেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই ব্যায়াম করলে দিনে ১০ বা তার বেশি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার ওজন অনুযায়ী সঠিক সংখ্যা বলতে পারবেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোলেস্টেরল রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত নয়। তারা চাইলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে দিনে ১টি করে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো যেতে পারে। কিন্তু এর চেয়ে বেশি খেতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে শরীরে লিপিডের সমস্যা বাড়ে। তাই ডিমের কুসুম নয়। ইচ্ছা হলে দিনে একটি করে ডিমের সাদা অংশ খান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত। ডিম সিদ্ধ করে সব পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি যদি চান, আপনি একটি নন-স্টিক প্যানে সামান্য তেল দিয়ে ডিম পোচ করতে পারেন। তবে আধা সেদ্ধ ডিম খাবেন না। কম সিদ্ধ ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এতে ডায়রিয়া, বমির মতো পেটের সমস্যা হতে পারে।

অনেকের ডিমে অ্যালার্জি থাকে। বিশেষজ্ঞরা ডিম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। কারণ ডিম খেলে তাদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।