শিক্ষা

দিনাজপুর বোর্ডের ফলাফল বিপর্যয়, ১৩টি স্কুলই ফেল করেছে

গতবারের তুলনায় এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এবার পাসের হার ৬৭.০৩ এবং ১৫,০৬২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই বোর্ডে পাসের হারের অবনতির সাথে সাথে জিপিএ-৫ও কমেছে। এ বছর ১,৮২,২৩৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তবে ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজনও শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এবার ১,৮২,২৩৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল এবং ১,২২,১৪৬ জন পাস করেছে। গতবার ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৮.৪৩ এবং ১৮,১০৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবার এই বোর্ডে পাসের হারের সাথে সাথে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও কমেছে। ফলাফলে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২,৭৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১,৮২,২৩৪ জন পরীক্ষার্থী ২৮০টি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেছে। এবার ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে। এবারও ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে। মেয়েদের পাসের হার ৬৯.৭৮ এবং ছেলেদের পাসের হার ৬৪.৩৮। জিপিএ-৫ পাওয়া মেয়েদের সংখ্যা ৭,৫৪৬ এবং জিপিএ-৫ পাওয়া ছেলেদের সংখ্যা ৭,৫১৬। ১০০% পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮। পাসের হারের দিক থেকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ৮টি জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা এগিয়ে। ঠাকুরগাঁও জেলায় পাসের হার ৭৯.৪৯। জিপিএ-৫ পেয়ে দিনাজপুর জেলা এগিয়ে আছে ৩৯৬৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, এটাই আসল ফলাফল। নবম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে দীর্ঘ সিলেবাসে পরিবর্তন আনায় ফলাফল ভেঙে পড়েছে। প্রতি বছর সরকার পাসের হারে উদারতা দেখায়, এবার সরকার কোনও উদারতা দেখায়নি। অধ্যাপক জলিল আহমেদ বলেন, আর্থিক অসঙ্গতির কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। এর অন্যতম কারণ কোচিং এবং ফেসবুক ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরতা।