দাপুটে ফুটবল খেলে জয়টি পেলেকে উৎসর্গ করল ব্রাজিল
এবারের বিশ্বকাপে কেন সেলেকাওরা ফেভারিট, কোরিয়ার বিপক্ষেই জানিয়েছেন তারা। ২৯ মিনিটে টেটের দল সন হিউং মিনের দলকে ধ্বংস করে দেয়। নৃশংস ফুটবল খেলায় কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এদিকে, খেলা শেষে পেলেকে এই জয় উৎসর্গ করেন নেইমার ও ভিনিরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘কালো মানিক’ পেলে। খেলা শেষে গ্যালারি থেকে পেলের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে আসেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা। পুরো দল সেই ব্যানার ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ব্যানারে কিংবদন্তির ছবির সঙ্গে পেলের নাম লেখা ছিল। ধারাভাষ্যকার বলেছেন, নকআউট পর্বের এই জয়টি ফুটবলের রাজা পেলেকে উৎসর্গ করেছে ব্রাজিল দল।
এর আগে ম্যাচের তিন ঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন পেলে। পোস্টটিতে সুইডেনে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের একটি ছবি রয়েছে। হাসপাতালে শুয়ে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। ক্যারিয়ারে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের সাক্ষী থাকলে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে, তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে অংশ নেন এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রাখেন।
প্রকাশিত ছবিতে তাকে সুইডেনের একটি শহরের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। পেলে লিখেছেন, ‘১৯৫৮ সালে সুইডেনের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা ভাবছিলাম। জানি, ব্রাজিল দলের অনেকেই এবার এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রথম বিশ্বকাপের স্বপ্নও দেখছেন তিনি।
পেলের শারীরিক অবস্থা মোটেও সংকটজনক নয়। অসুস্থ হলেও পেলের মেয়ে ফ্লাভিয়া নাসিমেন্তো আশ্বস্ত করেছেন যে তার অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বলেন, বাবার অসুস্থতা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সঠিক নয়। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ দুর্ভাগ্যজনক বলেও মনে করেন তিনি।
পেলের অসুস্থতা নিয়ে গ্লোবো টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্লাবিয়া বলেন, ‘অনেকে বলছেন বাবা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। যারা এই খবর ছড়াচ্ছেন তারা ঠিক করছেন না। আমাদের বিশ্বাস করো. পরিস্থিতি মোটেও সেরকম নয়।’
পেলেকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।