থমথমে ঢাকা, যেসব স্থানে কর্মসূচি
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে এ অবস্থায়ও গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
এ অবস্থায় ১৫ আগস্টকে ঘিরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। এ কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ বৃহস্পতিবার সারাদেশে সতর্ক থাকতে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন সড়ক ও আশপাশের এলাকা দখল করে রেখেছে। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় এমন চিত্র দেখা যায়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শুক্রাবাদ মোড় থেকে ৩২ নম্বর ও মেট্রো শপিংমলের সামনে অবস্থান করছে। কিছু লোক মিছিল নিয়ে বের হচ্ছে, ধানমন্ডি ২৭ ঘোরাফেরা করে ৩২ নম্বরে ফিরে আসছে এবং অনেক লোক জড়ো হচ্ছে। আবার ধানমন্ডি ৩২ লেক পাড়ও শিক্ষার্থীদের দখলে। তাদের প্রত্যেকের হাতে লাঠি ও পাইপ রয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টায় ‘প্রতিরোধ সপ্তাহ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা।
এদিকে সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা তাণ্ডব, শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসা ছাত্র হত্যাকে ঘিরে হাসিনার বিচারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করবেন তারা। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করা।
অপরদিকে বেলা ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন, বিজয় নগর, পন্নী ট্যাংকি মোড়, আলরাজি কমপ্লেক্সে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণঅধিকার পরিষদ।
এতে উপস্থিত থাকবেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্যান্যরা।