• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

    মঙ্গলবার সকালে চীনের তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

    তিব্বতের নেপাল সীমান্তের কাছে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬০ জন।

    ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বিহার, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

    ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে। এলাকার কাছাকাছি দামাকসং কাউন্টির গেদার শহরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পের পর সকাল ১০টার দিকে একাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়। সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশক ছিল ৪.৪।

    চীন জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। তবে ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১।

    চীনের সিনহুয়া বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি চীনের জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাজের কাছে।

    প্রসঙ্গত, নেপাল একটি ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয় পর্বতমালা তৈরি হয়েছিল। এ কারণে এ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।

    এর আগে, ২০১৫ সালে, নেপালে ৭.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ৯.০০০ লোক মারা গিয়েছিল এবং ২২.০০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। ভূমিকম্পে অর্ধলক্ষাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

    Do Follow: greenbanglaonline24