• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    তিনটি শহরে তালেবান ও আফগান বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই

    কান্দাহারের পর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক রাজধানী লস্করগাহ এবং হেরাত এখন তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। আফগান বাহিনীর সঙ্গে তিনটি শহরে যুদ্ধ চলছে। এই শহরগুলো যে কোনো সময় চরমপন্থীদের হাতে চলে যেতে পারে। মার্কিন ও আফগান বাহিনী জঙ্গি গোষ্ঠীকে ঠেকাতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে।

    সরকারি বাহিনীর জোরালো আক্রমণ সত্ত্বেও তালেবান যোদ্ধারা এগিয়ে যাচ্ছে। তালেবানদের বোমা হামলা এবং স্থল অভিযান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা সংকটে পড়েছেন। বেসামরিক মানুষ তাদের জীবন হারাচ্ছে। লস্করগাহের বাসিন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাশ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদিকে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে তালেবানরা রাজধানী কাবুলে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন।

    আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় দেশের অধিকাংশ অংশ দখল করার পর তালেবানরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে প্রাদেশিক রাজধানীতে। চরমপন্থীরা দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে সমৃদ্ধ দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বড় শহরগুলো দখল করে নিয়েছে। এদিকে, আফগান বাহিনী লস্করগাহে বিমান হামলার মাধ্যমে তালেবানদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও বন্দুকযুদ্ধ তীব্র করেছে। সেখানে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাবাহিনী বাসিন্দাদের দ্রুত লস্করগাহ থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা সালেহ মোহাম্মদ বলেন, “শত শত পরিবার পালানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু সহিংসতার কারণে কোথাও যাওয়া যায়নি। জীবনের কোন গ্যারান্টি নেই, আমরা যে কোন সময় মারা যেতে পারি। আমরা তালেবান এবং সরকার উভয়ের দ্বারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি।

    মঙ্গলবার কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মাদীর বাড়িতে দুইবার হামলা হয়েছে। পরে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মন্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ। পরের দিন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হামলার দায় স্বীকার করে বলেন, ভবিষ্যতে আফগান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর একই ধরনের হামলা চালানো হবে।

    অন্যদিকে, আফগানিস্তানের জন্য মার্কিন বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ মঙ্গলবার বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার গঠন হলে তালেবানরা তাদের হাতে ক্ষমতার সিংহভাগ চায়। এটাই তারা দাবি করছে। তিনি আরও বলেন, তালেবান এবং কাবুল সরকার ঐকমত্যে পৌঁছাতে অনেক দূরে। তারা একে অপরের হিসাব উল্টাতে চায়, ঠিক যেমন তারা যুদ্ধক্ষেত্র করে।

    মন্তব্য করুন