তামাক চাষ অব্যাহত থাকলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়। এভাবে খাদ্য উৎপাদনের জমিতে তামাক চাষ অব্যাহত থাকলে দেশে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা রোধে এখনই তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে টেকসই পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘খাদ্য বাড়াও, তামাক নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে অ্যালায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি), ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট টোব্যাকো (ক্যাট) এবং কাউন্সিল অন ড্রাগস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন (মানবিক) যৌথভাবে এই আয়োজন করে।
সংগঠিত আলোচনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক উপদেষ্টা ও এএফআইবির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মোজাহারুল হক।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট বাড়ছে। তামাক চাষ এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত ক্ষতির অন্যতম কারণ। তামাক বর্তমানে ১২৫ টিরও বেশি দেশে অর্থকরী ফসল হিসাবে জন্মে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪ মিলিয়ন হেক্টর কৃষি জমি তামাক উৎপাদন করছে। আর এই তামাক চাষের ফলে সাধারণত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোজাহারুল হক বলেন, “প্রতি বছর দেশে প্রায় চার লাখ মানুষ তামাক সেবনের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এর বাইরে ১২ লাখ মানুষ তামাকজনিত আটটি বড় রোগে আক্রান্ত হয়। প্রতিবছর ব্যবহার করে।এর ফলে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।অন্যদিকে তামাক চাষের জন্য দুষ্প্রাপ্য আবাদি জমি ও পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। “তামাক উৎপাদনের পথ তৈরি করতে এবং তামাকের পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য জ্বালানি তৈরি করতে হাজার হাজার হেক্টর জমি পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।”
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এএফআইবির যুগ্ম সমন্বয়কারী ইবনুল সাঈদ রানা ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। এর আগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিভাগের সহকারী সচিব রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাট সভাপতি আসলাম শিহির, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আশরাফুল আলম পপলু ও দৈনিকের বর্তমান সম্পাদক নাজমুল হক সরকার প্রমুখ।