তল্লাশি ও গ্রেফতার হামলায় নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন।সিলেটে বিএনপির সমাবেশ
বিএনপির বিভাগীয় সভাকে সামনে রেখে সিলেটে দিনরাত চলছে প্রচার-প্রচারণা। বিএনপি নেতাকর্মীরা চার লাখ লোক জমায়েতের লক্ষ্য নিয়ে মাঠ চষে বেড়ালেও বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ও বাড়িতে তল্লাশির কারণে তাদের উদ্বেগ বাড়ছে।
এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাবেশের আগে এ ধরনের হুমকি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আগামী শনিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার সিলেটের বিয়ানীবাজার শহরে বিএনপি ও ছাত্রদলের প্রচার মিছিলে বারবার ধাওয়া দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। দুপুরে নগরীর দক্ষিণবাজারে এ ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইটের আঘাতে মুসলিম মিয়া নামে এক শ্রমিক আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম জানান, পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণকালে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। তবে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আজাদ জিসান জানান, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উসকানিমূলক মিছিল করে শহরের শান্ত পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ প্রতিরোধ করে। বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় দাবি করেন, পুলিশের অবস্থানের কারণে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন ফারুক। তিনি জানান, সোমবার গভীর রাতেও পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সালাহউদ্দিন জানান, সিলেটে সমাবেশে বিএনপিসহ অন্যান্য সংগঠনের অংশগ্রহণ ঠেকাতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
হবিগঞ্জে বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বচ্ছসেবক দলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গউছ বলেন, তাদের নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দলের কর্মীরা আতঙ্কিত। তবে সব বাধা পেরিয়ে সমাবেশে যোগ দেবেন নেতাকর্মীরা।