তফসিল ঘোষণার পূর্বেই পদত্যাগ করবেন আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিনি নিজেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম থিকানার ‘খালেদ মুহিউদ্দিন অ্যাট দ্য অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি ২০১৮ সাল থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনীতিতে জড়িত কেউ নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারে থাকা উচিত নয়। তাই, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আমি সরকার থেকে পদত্যাগ করব।’ যদিও এটা স্পষ্ট যে তিনি রাজনীতিতে জড়িত, তবে তিনি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা বা জাতীয় নাগরিক দলে (এনসিপি) যোগ দেবেন কিনা সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। সেনাবাহিনী বা সরকারের সাথে তার কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ নেই উল্লেখ করে আসিফ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বা গণঅভ্যুত্থানের আগে সেনাবাহিনীর অবদান আমরা স্বীকার করি। তবে সেনাপ্রধানের সাথে মতবিরোধ কেবল আওয়ামী লীগ ইস্যুতে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন শক্তির তৎপরতার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন, “একটি গোষ্ঠী জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে। তারা এই দলটিকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আনতে চায়। তারা জাপার ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের ভালো ভাবমূর্তি সম্পন্ন নেতাদের নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে।” ড. আসিফ মাহমুদ আরও উল্লেখ করেন যে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে একাধিক ক্ষমতার কেন্দ্র রয়েছে। তার ভাষায়, “৫ আগস্টের পর সামরিক বাহিনী ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে। প্রতিটি উপদেষ্টা আলাদা আলাদা জায়গা থেকে এসেছেন। এই কারণে, ক্ষমতার কোনও একক কেন্দ্র নেই।”