তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত, প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে: কাদের
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বক্তব্য ব্যক্তিগত এবং বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন। .
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যে দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য হতে পারে। আমাদের দল বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য নেই। কেন তিনি এমন বক্তব্য দিলেন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বিএনপি। তার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি প্রতিনিয়ত বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছে যার জবাব একদিন তাদের দলের কাছে দিতে হবে নেতাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ থাকবে না। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য জনগণের মধ্যে রসিকতায় পরিণত হয়েছে।
দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় বলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা এখন আত্মবিশ্বাস হারিয়ে বিপথগামী রাজনৈতিক দল।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে উদযাপনের জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে একই সময়ে সমগ্র জাতির উদ্দেশে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকালে সাভার ও বঙ্গবন্ধু ভবনে আওয়ামী লীগসহ সব স্তরের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
১৬ ডিসেম্বর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে শিখা চিরন্তন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার ড. বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।