• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শুরু হয়নি

    আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোর দেশের ৩০টি জেলাকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করেছে। এতগুলো জেলার সঙ্গে সংযোগ থাকায় এসব এলাকায় প্রায়ই দীর্ঘ ও অসহনীয় জঞ্জাল পাওয়া যায়। তৈরি পোশাক কারখানা থাকার কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের কাছে বারবার অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তারা। সামগ্রিক গুরুত্ব বিবেচনা করে, যানজট হ্রাস এবং ঢাকার সাথে দ্রুত সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য, এই করিডোরে ২৪ কিলোমিটার সড়ক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ২০১৭ সালে নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের নথি অনুসারে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে। কিন্তু পাঁচ বছরে এক ইঞ্চিও এগোয়নি নির্মাণ কাজ। মেয়াদ শেষ হতে চললেও এর কাজও শুরু হয়নি। মাঝখানে খরচ হয়েছে এক হাজার ৪০৩ কোটি টাকা।

    তবে সময় ও অর্থ বাড়ানো হলে কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা কমিশনও এ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। কমিশন সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

    প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর বাড়ানো হবে। বাস্তবায়নের জন্য ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে। অন্য কথায়, মোট ৯ বছর সময় লাগবে। এতে বাড়তি ব্যয় হবে ৬৫২ কোটি টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা।

    এই প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে চীন সরকার। সংশোধিত প্রকল্পে এ ঋণ থেকে নেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। বাকি ৭ হাজার ৬০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পটির বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৩,৫৫২ কোটি টাকা। আগামী এডিপিতে ৩ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    সময়সীমা শেষ হলেও কেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ গতকাল  বলেন, চীন সরকার বড় অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে। প্রকল্প ঋণ পেতে দুই সরকারের সঙ্গে দরকষাকষিতে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে তাদের ঠিকাদার দিয়ে প্রকল্পটি নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়। এছাড়াও, মূল প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) বাণিজ্যিক চুক্তির পরিমাণের মাধ্যমে ১০০% বৈদেশিক ঋণের বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। পরে দেখা গেল, এভাবে কখনো ঋণ নেওয়া হয় না। এ কারণে শেষ পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ সমাধান করতে হয়েছে। আবার জমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দেয়। এসব কারণে সময়মতো কাজ শুরু করা যায়নি।

    কাজ শুরু না হলেও ১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণে কিছু টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়নের কারণে প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়েছে। প্রকল্প নেওয়ার সময় ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়েছিল আশি টাকা ৬০ পয়সা। সংশোধিত ডিপিপিতে প্রতি ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬ টাকা।

    মন্তব্য করুন