‘ডিম সিন্ডিকেটের কালো হাত খুঁজে বের করা হবে’
একটি ডিমের দাম রাতারাতি তিন টাকা বাড়লেও তার দায় কেউ নিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ডিম নিয়ে সম্প্রতি যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে তা স্পষ্ট। এর পেছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করা হবে। এই কালো হাত যাতে আর বাড়তে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও করপোরেট প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট, ডিলার ও ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে ডিমের দাম বৃদ্ধির দায় স্বীকার না করেই নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে গত সোমবার ডিম ব্যবসায়ী, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ডিমের দাম বাড়ার দায় কেউ নেয়নি। একজন আরেকজনকে দোষারোপ করেছেন।
বুধবার বৈঠক শেষে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান জানান, বৈঠকের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযান প্রতিবেদন আকারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। এরপর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, তেল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে আটটি মামলা করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ডিমের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ পয়সা। তবে সিন্ডিকেট করে এক রাতে ডিমের দাম তিন টাকা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের নানাভাবে রক্ষা করছে। সিন্ডিকেট করে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন ব্যবসায়ীরা।