জাতীয়

ডিপো কর্মকর্তা-প্রাপ্তি অফিসার-চালকের অংশীদারিত্বে তেল চোরাচালান

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিভিন্ন ডিপো থেকে কৌশলে কোটি কোটি টাকার ডিজেল চুরি হচ্ছে। অসাধু চক্র তেলের লরিতে বিশেষ চেম্বার বসিয়ে কার্যাদেশের অতিরিক্ত তেল ডিপো থেকে বের করে কালোবাজারে বিক্রি করছে। এতে তিন পক্ষ জড়িত—ডিপোর কর্মকর্তা, তেল গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং লরির চালক-সহকারী। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) এ চক্রের একাধিক সদস্য এসব তথ্য আমাদেরকে জানিয়েছেন।
চুরির ঘটনা দুই ধাপে ঘটে—বন্দর থেকে ডিপোতে আনার সময় এবং ডিপো থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের সময়। সম্প্রতি যমুনা অয়েল কোম্পানির ফতুল্লা ডিপো থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার লিটার ডিজেল উধাও হয়েছে, যা একই কৌশলে চুরি হয়েছে বলে ধারণা।
চট্টগ্রাম, পতেঙ্গা, বায়েজিদসহ বিভিন্ন এলাকায় গোপনে এসব চোরাই তেল বিক্রি হয়। এছাড়া কর্ণফুলী নদীপথেও জাহাজের মাধ্যমে তেল পাচার চলছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল পরিবহন ও বিপণন কোম্পানির কিছু কর্মকর্তা, স্থানীয় সিন্ডিকেট ও জাহাজকর্মীরা এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে সংস্থার তথ্য কর্মকর্তা শাহিনা সুলতানা বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই এবং খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।