জাতীয়

ডিএসসিসি ৫৪ ওয়ার্ড নং ।খেপে গেলে মাসুদ গুলিও ছোরেন

তিনি এলাকায় বেশ ‘জনপ্রিয়’ জনপ্রতিনিধি। তবে তা কেবল প্রকাশ্যে। তার অপকর্ম নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সীমা নেই। যদিও আতঙ্কে কেউ মুখ খুলতে পারেন না। তিনি শক্তি প্রয়োগ, নির্বিচারে চাঁদাবাজি এবং মাদক পাচারসহ সব ধরণের অপকর্মের পিছনে রয়েছেন। তাঁর অনুসারীরা প্রকাশ্যে কাজ করেন। হাজী মোহাম্মদ মাসুদ, কাউন্সিলর, ৫৪ নং ওয়ার্ড, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

৫৪ নম্বর ওয়ার্ডটি শামপুরের করিম উলারবাগ, নিউ জুরাইন আলমবাগ এবং পশ্চিম জুড়াইনের মাজার এলাকা নিয়ে গঠিত। বেশ কয়েকদিন এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলার পরে মাসুদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা ভয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে এবং তার বিভিন্ন অপকর্মের কথা প্রকাশ করে। যদি আপনি এতটা ভয় পাওয়ার কারণ জানতে চান তবে তাদের মধ্যে  এই  মন্তব্য করতে শোনা যায়।;গুলি করে দেবে।তিনি কি সত্যিই জন প্রতিনিধি হিসাবে কাউকে গুলি করেছেন? স্থানীয়দের দেওয়া ভিডিওতে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। সত্যিই তাই। কাউন্সিলর মাসুদ নিজেই গুলি ছুড়েছেন। ভিডিওটিতে দৃশ্যটি বর্ণনা করে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ঈদুল  আজহার আগের রাতে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকাযর পশুর হাটে একটি তুচ্ছ ঘটনার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন।। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গবাদি পশুর বাজার মোটরসাইকেল বা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাসউদের ছেলে মোহাম্মদ হিমু তার বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে বাজারে প্রবেশ করতে চায়। এটি বাজারের স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা প্রতিরোধ করা হয়েছিল। এই খবর পেয়ে কাউন্সিলর নিজের বাহিনী নিয়ে বাজারে গিয়ে হাসিলঘরকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এ সময় কাউন্সিলর ও তার লোকজন বাজারের স্বেচ্ছাসেবক জাহিদ হাসান শুভকে মারধর করে। গুলি চালানো ও মারধর করার জন্য তিনি থানায় গিয়েছিলেন তবে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হয়নি।

জানতে চাইলে কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাসউদ বলেন যে সেদিন  গুলি করেননি। তার ছেলেকে হাটের ভিতরে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি কেবল তাকে উদ্ধার করেছেন। মানুষ এগুলি নিয়ে এখন রাজনীতি করছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, মাসুদ এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন মাসুদ ভাই, একজন দলের নেতা এবং সাধারণ মানুষের প্রিয়। পাশ করার পরে সেই তিনি এখন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছেন। তিনি এখন দলের নেতাকর্মীদের নিয়েও মাথা ঘামান না।

আরেক নেতা বলেন, কাউন্সিলর মাসুদের ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি বাহিনী রয়েছে। এই বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এই বাহিনীর সদস্যরা এলাকার সমস্ত অপকর্মের মূল

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘তারা যদি আমার লোক হয় তবে তারা যদি অপকর্ম, চাঁদাবাজি করে তবে তাদের থানায় নিয়ে যান। আমার কোনো অভিযোগ নেই।

মন্তব্য করুন