• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ডিএসইসি লেখক সম্মাননা ।সাংবাদিকদের আপসহীন লেখা সমাজ-রাষ্ট্রকে পথ দেখায়: খায়রুজ্জামান লিটন

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, “আধুনিক বিশ্বে লেখক-সাংবাদিকরাই রাষ্ট্রকে সঠিক পথ দেখাতে পারেন। আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সবই জানি। কোথায় কী ঘটেছে, কী ঘটছে বা কী হওয়া উচিত। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিল (ডিএসইসি) আয়োজিত ‘লেখক সম্মাননা-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৫০ জন লেখককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। নগদ ৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়।সভাস্থলে প্রায় পাঁচ শতাধিক লেখক ও সাংবাদিকের পদচারণা ছিল।
    খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, অনেক সময় শুনেছি সাংবাদিকদের বলা হয় আপনারা এটা লিখুন, এটা নয়। হুকুম আছে, বলা যেতে পারে, বলা যাবে না। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক বান্ধব। এখন বিদেশ থেকে এলে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজনীতির কারণে আমরা আওয়াজ তুলতে পারি না। অকপটে স্বীকার করছি। আশা করি আপনারা সেই আওয়াজ তুলবেন। আমরা জানি আপনারা মোকাবেলা করার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তারপরও আপনার আপসহীন লেখা ও সংবাদ সমাজ ও রাষ্ট্রকে পথ দেখান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখেন।
    জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, যারা সাংবাদিকতা করতে আসেন, তারা মনে করেন সাংবাদিক হয়ে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করবেন। নির্যাতিতদের আওয়াজ হবে। আসলে কি তাদের স্বাধীনতা আছে? তাদের আছে পরাধীনতার বেদনা।
    মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে লেখক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় ও কোষাধ্যক্ষ কবির আলমগীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও আকতার হোসেন, ঢাকা উপ-সম্পাদক পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোতাসিম প্রমুখ। বিল্লাহ, কে এম শহীদুল হক। , কায়কোবাদ মিলন, নাসিমা আক্তার সোমাসহ অনেকে।
    বিশেষ সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- কবিতা: অতনু তিয়াস, আলমগীর নিষাদ, সুরাইয়া ইসলাম, পুলক হাসান, আবদুর রহমান মল্লিক, মু এ কুদ্দুস, মহসিন হোসেন, চৌধুরী ফেরদৌস ও দীপক ভৌমিক।
    গল্প/উপন্যাস লিখেছেন: শান্তনু চৌধুরী, ইমন চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল আহমেদ টিপু, রনি রেজা, সাবিরা ইসলাম, আবুল হোসেন খোকন, তানভীর আলাদিন, হোসেন শহীদ মজনু, ইব্রাহীম খলিল জুয়েল, শামীম ফেরদৌস, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন। সাইফ বরকতুল্লাহ
    ইতিহাস গবেষণায়: কাজী আলিম উজ জামান, দীপঙ্কর গৌতম, মোস্তফা মানওয়ার সুজন, মোহাম্মদ নূরুল হক, অঞ্জন আচার্য, কায়কোবাদ মিলন, আহমেদ মতিউর রহমান, মুতাশিম বিল্লাহ, রীতা ভীমিক, জাকির আবু জাফর ও শরীফ আবদুল গোফরান।
    শিশুসাহিত্যে: মনসুর হেলাল, আশিক মুস্তাফা, অদ্বৈত মারুত ও মামুন রশীদ।
    অনুবাদঃ প্রমিত হোসেন, শাহাদাত হোসেন খান ও মলয় পদে।
    ভ্রমণ/বিজ্ঞান: আসিফ, জাহাঙ্গীর সুর, সুমন ইসলাম এবং কাজী রফিক।

    মন্তব্য করুন