ডিএসইতে আবারও লেনদেন বিঘ্নিত
এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই আবারও বিঘ্নিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় দিনের লেনদেন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয়নি। উভয় পক্ষই ডিএসই ওয়েবসাইটে সকাল ১১টায় লেনদেন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর হঠাৎ করে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি সংশোধন করার পরে, প্রায় ৩ ঘন্টা পর ট্রেডিং শুরু হয়।
সকাল ১০টার দিকে ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজকের লেনদেন ব্যাহত হওয়ার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানান, লভ্যাংশ ঘোষণার পর আজ ৭০টি কোম্পানির শেয়ারদরে সার্কিট ব্রেকার ফি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালিকাভুক্ত সব শেয়ার সার্কিট ব্রেকার ফ্রি দিয়ে লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছিল। বিষয়টি ধরা পড়ার পরই লেনদেন স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর শফিকুর রহমান বলেন, লভ্যাংশ ঘোষণার পর কার্যদিবসে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের দাম ওঠানামার কোনো সীমা নেই। এই অবস্থাকে সার্কিট ব্রেকার ফি শর্ত বলে। আজ রোববারের লেনদেনে এ ধরনের ৭০টি শেয়ার সার্কিট ব্রেকারমুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু অজানা কারণে তালিকাভুক্ত সকল শেয়ার সার্কিট ব্রেকার মুক্ত অবস্থায় জেনারেট করা হয়। এভাবে লেনদেন শুরু হলে আইনি জটিলতা তৈরি হতো বলে লেনদেন বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দরপতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছে। সাম্প্রতিক পতনে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের নিচে নেমে গেছে। বৃহস্পতিবার দিনের লেনদেন শেষে তালিকাভুক্ত ৩৮৮টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৫৯টির ফ্লোর প্রাইস ছিল।