ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখার সময় যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখা উচিত
রমজান মাস চলছে। ডায়াবেটিস রোগীদের এই সময়ে নিজের সম্পর্কে আরও যত্নবান হওয়া উচিত, অন্যথায় চিনির মাত্রা বৃদ্ধি এবং হ্রাস বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের কমা বা চিনির মাত্রা বৃদ্ধির অনেক লক্ষণ থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির মাত্রা কমে গেলে অতিরিক্ত ঘাম, ঠাণ্ডা, ক্ষুধা, হার্টের হার এবং মাথা ঘোরাভাব দেখা দেয়। এবং যখন চিনির স্তর বেড়ে যায়, রোগীর ঠোঁট শুকিয়ে যায় এবং তারা ঘন ঘন প্রস্রাব শুরু করে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস রোগীদের রমজান মাসে প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের কীভাবে সেহরি করবেন:
ডায়াবেটিস রোগীদের সেহরি খাবার খাওয়া উচিত যা কিছুটা দেরিতে হজম হয়। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীরা পরোটা খেতে পারেন না, তবে সেহরিতে কম তেল দিয়ে তৈরি পরোটা খেতে পারেন। দেরিতে হজম হয় এমন খাবারে হালিমও অন্তর্ভুক্ত থাকে। হালিম মাংস এবং ডালের উপস্থিতির কারণে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষুধা রোধ করে। সেহরিতে অতিরিক্ত তেল-মশলা-ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেহরিতে কাস্টার্ড বা কোনও ধরণের মিষ্টি খাবার খাবেন না।
ডায়াবেটিস রোগীরা ইফতার করবেন:
ডায়াবেটিস রোগীরা খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙতে পারে। গবেষণা অনুসারে, একটি খেজুরে ছয় গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়াও, খেজুরগুলিতে খনিজ, ফাইবার, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম থাকে। পটাসিয়াম ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। ইফতারের সময় চিনি, ক্রিম এবং দুধ ছাড়াই ফলের সালাদ খাওয়া যায়। ফলের সাথে সামান্য লেবুর রসও দেওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে তেল, নুন, লাল মরিচের গুঁড়া এবং চিনিযুক্ত খাবার এড়ানো উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীরা রমজান মাসে তাদের খাদ্য তালিকায় ফল, শাকসবজি, ডাল, দই ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ডিহাইড্রেশন কমাতে, চিনিবিহীন পানীয় বা যতটা সম্ভব পানি পান করুন। ১৪-১৫ ঘন্টা উপবাস রক্তচাপের উপর প্রভাব ফেলে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তচাপ সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। সময়মতো সুগার চেক করাও জরুরি।