• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ডাঃ সাবরিনা আদালতের কক্ষে আছেন, রায়ের অপেক্ষায়।জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হকসহ ৮ আসামি কারাগারে

    করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সাবরিনাকে ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়েছে। বাদী ও আসামিরা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন।

    সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আনা হয়। তাদের এখন আদালতের কক্ষে রাখা হয়েছে। ঢাকা সিএমএম আদালতের ইনচার্জ নাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

    ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটির রায় হওয়ার কথা রয়েছে। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৯ জুন বিচারক তোফাজ্জল হোসেন রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

    মামলার চার্জশিটে অন্য আসামিরা হলেন, ডা. সাবরিনার স্বামী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী, কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম রোমিও, স্বত্বাধিকারী জেবুর রহমান। এবং বিপ্লব দাস। তারা সবাই জেলে।

    রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজাদ রহমান। মামলায় ৪০ জনের মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা শনাক্ত করতে নমুনা সংগ্রহ করে ২৭ হাজার জনকে পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দিয়েছেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর কোম্পানি জেকেজি হেলথকেয়ার।

    ২৩ জুন, ২০২০-এ, এই অভিযোগে সংস্থাটি সিলমোহর করা হয়েছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

    মন্তব্য করুন