ট্রেন টু কক্সবাজার।পর্যটকদের জন্য সুখবর
পর্যটকদের কাছে ‘ট্যুরিস্ট ট্রেন’ এর মান সর্বদা আলাদা। এইবার বাংলাদেশে এই ট্যুরিস্ট ট্রেনটি চালু হতে চলেছে। পর্যটকদের আক্ষেপের দিনটি শেষ হয়ে আসছে। দেশের প্রথম পর্যটন ট্রেনটি ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চালু হচ্ছে। রেলওয়ে ইতিমধ্যে ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ টি বিলাসবহুল পর্যটন কোচ আমদানি করছে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পর্যটকরা যাতে সরাসরি ঢাকা থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যেতে এবং বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে পারে সে জন্য ট্রেনটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনটি শেষ হওয়ার পরপরই পরিষেবাটি চালু করার কাজ চলছে। পর্যটন কোচ আমদানির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের কাজ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। পর্যটন ট্রেন পরিষেবা উন্নত দেশগুলির মতোই মানসম্পন্ন হবে। পর্যটকরাও এই ট্রেনে চট্টগ্রাম ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্যুরিস্ট ট্রেনের উদ্বোধনের অংশ হিসাবে, রেলপথ ‘কক্সবাজারের অপারেটিং ট্যুরিস্ট ট্রেনের জন্য ৫৪ ব্রডগেজ যাত্রীবাহী সংগ্রহের’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসে, রেলওয়ে এই প্রকল্পের অংশ হিসাবে কোচ আমদানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (যান্ত্রিক) মনজুরুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশনস) মুরাদ হোসেন এবং পূর্ব রেলওয়ের চিফ বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন। আগস্টে এ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। এর পরে ডিপিপি প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। প্রস্তাবে ৫৪টি কোচের জন্য ব্যয় হয়েছে ৩৫৬ কোটি টাকা। অন্য কথায়, প্রতিটি কোচ আমদানিতে ব্যয় হবে ৬০ লাখ টাকা। প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকার৭৮ কোটি টাকা জোগান দেবে। বাকি ২৭৮ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: আরিফুজ্জামান বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে পর্যটন ট্রেন চালু করতে রেলপথ এই উদ্যোগ নিয়েছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে এটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কক্সবাজার রেলপথ চালু হওয়ার আগেই ট্যুরিস্ট ট্রেন চালানোর সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।