বিবিধ

টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে শত শত পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে

টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের জেলে পল্লীতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। টানা বর্ষণের ফলে গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

জানা যায়, রান্নাবান্না ও মলত্যাগের স্থান ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দৈনন্দিন কাজে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে। জলাবদ্ধ পরিবারগুলো সকালের নাস্তা করতে ইউনিয়ন পরিষদের পাবলিক টয়লেটসহ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।

বন্যায় এসব পরিবারের শত শত মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমনকি ঘরের ভেতরেও পানি পড়ছে। অল্পবয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কৃষ্ণপুর গ্রামে প্রতি বছর যখন প্রবল বৃষ্টি হয় তখন এভাবেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো সরকারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের সময় এ তথ্য উঠে আসে।

তথ্য সংগ্রহের সময় জেলে পল্লীর বিমল সরকার (৬৫) জানান, প্রায় ২ বছর ধরে আমাদের জেলে পল্লীতে প্রবল বর্ষণ হলে আমাদের ঘরে পানি জমে আমাদের চলাচল ও রান্নার কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা এখানকার গরিব-দুঃখী মানুষ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চাই।

তাপসী রানী সরকার (৫৫) বলেন, ভোট এলে আমাদের ভালোবাসা বেড়ে যায়। পরে কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না। এত জলে আমরা বাঁচব কী করে?

ভুক্তভোগী তাপসী মালো জানান, বসার ঘর ও রান্নাঘর প্লাবিত হয়েছে। রান্না করতে পারতাম না।

আমরা ছয়জনই না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।

বিকাশ মালো (২৫)সহ বিভিন্ন নারী-পুরুষ জানান, আমাদের দুর্ভোগের খবর কেউ নেয়নি। কাদা-পানিতে হাঁটতে হাঁটতে পায়ে ব্যথা হয়েছে। বর্ষাকালে আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দুর্ভোগের দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তিতাসকে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, টানা বর্ষণে কৃষ্ণপুরের মাছধরা পল্লীতে কিছু পরিবার পানিতে ডুবে থাকার কথা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি আমাকে কেউ বলেনি। তবে আমি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। পানি নিষ্কাশন শীঘ্রই ব্যবস্থা করা হবে।