• বাংলা
  • English
  • আন্তর্জাতিক

    জেরুজালেমে হামলা: যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অনেক দেশর নিন্দা

    অধিকৃত জেরুজালেমের একটি উপাসনালয়ে বন্দুকধারীর হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের মিত্ররা। শুক্রবার সন্ধ্যায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
    মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দৈনিক ব্রিফিং শুরু হয় জেরুজালেমে হামলার বিবৃতি দিয়ে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘এটা ভয়ানক, যারা এই হামলায় নিহত হয়েছে তাদের জন্য আমরা প্রার্থনা করছি, আমরা শোকাহত। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এছাড়া হোয়াইট হাউস এবং ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও পৃথকভাবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
    জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা জেরুজালেমের একটি উপাসনালয়ের বাইরে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই।”
    যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), পোল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেন, সার্বিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, উত্তর মেসিডোনিয়া, স্লোভেনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ইতালি এবং জাপানও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
    পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের নামে চালানো হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনার একদিন পর জেরুজালেমে এই হামলা চালানো হয়। সিনাগগ চত্বরে হামলায় সাতজন নিহত হয়।
    অন্যদিকে এই হামলার খবর পেয়ে ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করে। পশ্চিম তীর, রামাল্লা, নাবলুস, জেনিন এবং পূর্ব জেরুজালেমের বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনিদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
    গাজায় হামাসের একজন মুখপাত্র হাজেম কাসাম বলেছেন যে এই হামলাটি “জেনিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া”, তবে সরাসরি হামলার দায় স্বীকার করেনি। ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদও এই হামলার প্রশংসা করলেও দায় স্বীকার করেনি।

    মন্তব্য করুন